ক্রিকেট খেলায় নো বলের নিয়ম | ক্রিকেটের নতুন নিয়ম

     ক্রিকেট খেলায় নো বলের নিয়ম - ক্রিকেট একটি দলগত খেলা যা দুটি দলের মধ্যে খেলা হয়, প্রতিটি দলে দশজন খেলোয়াড় থাকে। খেলাটি একটি লম্বা, সরু মাঠে খেলা হয়, যার এক প্রান্তে দুটি উইকেট থাকে। উইকেটের মাঝখানে একটি উঁচু কাঠি থাকে, যাকে "বিল" বলা হয়। বোলার বলটিকে উইকেটের দিকে নিক্ষেপ করেন, এবং ব্যাটসম্যানরা বলটিকে স্ট্যাম্পে আঘাত করা থেকে রক্ষা করার জন্য তাদের ব্যাট দিয়ে আঘাত করার চেষ্টা করেন। যদি বলটি স্ট্যাম্পে আঘাত করে, তবে ব্যাটসম্যান আউট হয়ে যায়।

    ক্রিকেট খেলার দুটি প্রধান ধরন হল টেস্ট ক্রিকেট এবং একদিনের আন্তর্জাতিক (ODI) ক্রিকেট। টেস্ট ক্রিকেট হল সবচেয়ে দীর্ঘতম ধরন, যা পাঁচ দিন ধরে খেলা হয়। ODI ক্রিকেট হল সবচেয়ে জনপ্রিয় ধরন, যা এক দিনের মধ্যে খেলা হয়।


    আরো পড়ুন - বিশ্বকাপে এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ গোলদাতা কে

     ফিফার সেরা গোলকিপার ২০২৩ 

    তাহাজ্জুদ নামাজের নিয়ম ও কত রাকাত

    ফি আমানিল্লাহ অর্থ কি 

    মাথা ব্যথা কমানোর উপায়

    অনলাইনে জমির খতিয়ান অনুসন্ধান

    আইফোন ১৫ প্রো ম্যাক্স দাম কত বাংলাদেশে

    রাফি নামের অর্থ কি জানতে চান

    রবি সিম কার নামে রেজিস্ট্রেশন করা কিভাবে জানবো 


    ক্রিকেট খেলায় নো বলের নিয়ম |  ক্রিকেটের নতুন নিয়ম


    ক্রিকেট খেলায় নো বলের নিয়ম

    ক্রিকেট খেলায় নো বল বলতে বোলার কর্তৃক বোলিং করার সময় অবৈধভাবে ব্যাটসম্যানের প্রতি নিক্ষেপ করা কোন বলকে বোঝায়। ফলস্বরূপ ব্যাটিং দলের স্কোরে অতিরিক্ত রানও যোগ হয়। 

    আইসিসির ক্রিকেট আইনের ৪১.৭ ধারা অনুসারে, নো বল ঘোষণার ক্ষেত্রে নিম্নলিখিত কারণগুলি বিবেচনা করা হয়:

    1. বোলারের পা পপিং ক্রিজের বাইরে গেলে।
    2. বোলারের পা পিচের বাইরে গেলে।
    3. বোলারের বল পিচ করার আগেই ব্যাটসম্যানের দিকে এগিয়ে গেলে।
    4. বোলারের বল পিচ করার আগেই বলটি উইকেটকিপারের দিকে এগিয়ে গেলে।
    5. বোলারের বল পিচ না করে ব্যাটসম্যানের কোমর উচ্চতার উপরে উঠলে।
    6. বোলারের বলটি ব্যাটসম্যানের মাথার উপর দিয়ে উড়ে গেলে।
    7. বোলারের বলটি ব্যাটসম্যানের মাথার উপর দিয়ে উড়ে গেলে এবং ব্যাটসম্যান বলটি খেলতে না পারলে।
    8. বোলারের বলটি ব্যাটসম্যানের মাথার উপর দিয়ে উড়ে গেলে এবং ব্যাটসম্যান বলটি খেলতে পারলেও বলটি বাউন্ডারি হয়ে গেলে।

    নো বলের ফলাফল:

    1. নো বল ঘোষণা করা হলে, ব্যাটিং দলকে একটি রান যোগ করা হয়।
    2. নো বলের কারণে যদি কোনও ব্যাটসম্যান আউট হন, তাহলে আউটটি বাতিল হয়ে যায়।
    3. নো বলের পরবর্তী বলটি একটি ফ্রি হিট হয়, যাতে ব্যাটসম্যান আউট হতে পারে না।

    নো বলের প্রযুক্তিগত নিয়ন্ত্রণ:

    ২০২৩ সালের আইসিসি পুরুষদের বিশ্বকাপের জন্য, নো বলের সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য থার্ড আম্পায়ার বা টিভি আম্পায়ারের কাছে একটি প্রযুক্তিগত নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা চালু করা হয়েছিল। এই ব্যবস্থাটি বোলারের পায়ের অবস্থান সঠিকভাবে নির্ধারণ করতে একটি 360-ডিগ্রি ক্যামেরার ব্যবহার করে।

    নো বল সম্পর্কে কিছু বিতর্কিত বিষয়:

    নো বলের নিয়মগুলি প্রায়ই বিতর্কিত হয়, বিশেষ করে ফুল টস নো বলের ক্ষেত্রে। ফুল টস নো বল হল এমন একটি বল যা পিচ না করে ব্যাটসম্যানের কাছে পৌঁছায়। এই ধরনের নো বলের ফলে ব্যাটিং দলকে একটি রান যোগ করা হয়, কিন্তু ব্যাটসম্যান আউট হতে পারে না। অনেকে মনে করেন যে এই নিয়মটি ন্যায়সঙ্গত নয়, কারণ এটি ব্যাটসম্যানকে একটি সুবিধা দেয়।

    নো বল সম্পর্কে কিছু সাধারণ প্রশ্ন:

    নো বল কিভাবে ঘোষণা করা হয়?


    নো বল ঘোষণা করার জন্য, আম্পায়ারকে অবশ্যই নিশ্চিত করতে হবে যে বোলার নিয়ম লঙ্ঘন করেছেন। এটি করার জন্য, আম্পায়ার বোলারের পায়ের অবস্থান, বলটি পিচ করেছে কিনা এবং বলটি ব্যাটসম্যানের কাছে কিভাবে পৌঁছেছে তা পর্যবেক্ষণ করতে পারেন।

    নো বলের ফলাফল কী?


    নো বল ঘোষণা করা হলে, ব্যাটিং দলকে একটি রান যোগ করা হয়। এছাড়াও, যদি কোনও ব্যাটসম্যান নো বলে আউট হন, তাহলে আউটটি বাতিল হয়ে যায়।

    নো বল কি ফ্রি হিট?


    না, সব নো বল ফ্রি হিট নয়। শুধুমাত্র সেই নো বলে ফ্রি হিট হয় যা বোলারের পা পপিং ক্রিজের বাইরে গেলে ঘটে।

    ক্রিকেটের নতুন নিয়ম

    আইসিসি ২০২৩ সালের ১ অক্টোবর থেকে কার্যকর করার জন্য ক্রিকেটের বেশ কিছু নতুন নিয়ম ঘোষণা করেছে। এই নিয়মগুলির মধ্যে রয়েছে:

    ক্যাচ আউটে নতুন নিয়ম: এখন থেকে, কোনো ব্যাটার ক্যাচ আউট হলে নতুন ব্যাটার স্ট্রাইকিং প্রান্তে ব্যাটিং শুরু করবেন। এতদিন নিয়ম ছিল, ক্যাচ আউটের সময় বলটি ফিল্ডারের হাতে বন্দী হওয়ার আগে দুই ব্যাটার নিজেদের ক্রস করে ফেললে নতুন ব্যাটার নন স্ট্রাইক প্রান্তে থাকেন।

    বলের পিচে আঘাতের নিয়ম: এখন থেকে, কোনো ব্যাটারের ব্যাট বা শরীরের যেকোনো অংশ বলকে পিচের বাইরে নিয়ে গেলে সেটি নো বল হিসেবে গণ্য হবে। এতদিন নিয়ম ছিল, বলটি যদি মাটিতে আঘাত না করে তাহলেই তা নো বল হিসেবে গণ্য হত।

    নতুন ব্যাটারের ব্যাটিং শুরুর সময়: টেস্ট ও ওয়ানডে ফরম্যাটে কোনো ব্যাটার আউট হওয়ার পর দুই মিনিটের মধ্যে নতুন ব্যাটারকে ক্রিজে এসে প্রথম বল খেলার জন্য প্রস্তুত হতে হবে। এতদিনের নিয়মে টেস্ট ও একদিনের ম্যাচে ব্যাটাররা তিন মিনিট সময় পেতেন। তবে অন্যদিকে টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে কিন্তু তিন মিনিটই থাকছে।

    বোলারের রান আউট করা: এখন থেকে, বোলারের রান আউট করার জন্য ফিল্ডারকে বলটিকে উইকেটের পিছনে ফেলতে হবে না। ফিল্ডার বলটিকে মাঠের যেকোনো জায়গায় ফেলে ব্যাটসম্যানকে আউট করতে পারবেন।

    মাঁকড়ীয় পদ্ধতিতে রান আউট: এখন থেকে, মাঁকড়ীয় পদ্ধতিতে রান আউট করাকে অবৈধ হিসেবে গণ্য করা হবে না। এতদিন নিয়ম ছিল, মাঁকড়ীয় পদ্ধতিতে রান আউট করাকে অসৎ উপায়ে আউট করা বলে ধরা হত।

    এই নিয়মগুলির উদ্দেশ্য হল ক্রিকেট খেলাকে আরও গতিশীল এবং উত্তেজনাপূর্ণ করে তোলা।

    ক্রিকেট খেলার আইন কয়টি ও কি কি


    ক্রিকেট খেলার আইনগুলি মেলবোর্ন ক্রিকেট ক্লাব (এমসিসি) দ্বারা প্রণীত হয়। বর্তমানে ক্রিকেট খেলা পরিচালনার জন্য ৪২টি আইন রয়েছে। এই আইনগুলি খেলার শুরু, জয়-পরাজয়, ব্যাটসম্যান আউট হওয়ার উপায়, পিচের মাপ, প্রস্তুত-প্রণালী ও সংরক্ষণ ইত্যাদি বিষয়গুলির বিস্তারিত রূপরেখা তুলে ধরে।

    ক্রিকেট খেলার কিছু গুরুত্বপূর্ণ আইন হল:

    খেলার উদ্দেশ্য: ক্রিকেট খেলার উদ্দেশ্য হল প্রতিপক্ষ দলের চেয়ে বেশি রান সংগ্রহ করা।

    দল: প্রতিটি দলে ১১ জন খেলোয়াড় থাকে।

    পিচ: ক্রিকেট খেলার জন্য একটি সমতল মাঠের উপরে ২২ গজ দীর্ঘ এবং ১০ ফুট চওড়া একটি পিচ থাকে। পিচের দুই প্রান্তে উইকেট থাকে।

    উইকেট: উইকেটে তিনটি স্ট্যাম্প এবং দুইটি বেইল থাকে।

    বল: ক্রিকেট বলটি চামড়া দিয়ে তৈরি হয় এবং এর ব্যাস ২২.৪ সেমি এবং ওজন ৫.৫ ওজনের হয়।

    ব্যাট: ক্রিকেট ব্যাটটি কাঠের তৈরি হয় এবং এর দৈর্ঘ্য ৩৮ ইঞ্চি এবং প্রস্থ ৪.২৫ ইঞ্চি হয়।

    খেলার শুরু: খেলা শুরু হয় টসে দিয়ে। টসে জয়ী দল ব্যাটিং করার সিদ্ধান্ত নিতে পারে বা বোলিং করার সিদ্ধান্ত নিতে পারে।

    রান সংগ্রহ: ব্যাটসম্যানরা বলটিকে ব্যাটে মেরে মাঠের চারপাশে দৌড়ে রান সংগ্রহ করে।

    আউট হওয়ার উপায়: ব্যাটসম্যানরা বিভিন্ন উপায়ে আউট হতে পারে। এর মধ্যে রয়েছে:-

    ক্যাচ আউট: বলটি যদি ব্যাটসম্যানের ব্যাট বা শরীর থেকে আঘাত পেয়ে আকাশে উঠে যায় এবং অন্য কোনো খেলোয়াড়ের হাতে বন্দী হয় তাহলে ব্যাটসম্যান আউট হয়ে যায়।

    বোল্ড আউট: বলটি যদি ব্যাটসম্যানের উইকেট ভেঙে দেয় তাহলে ব্যাটসম্যান আউট হয়ে যায়।

    স্ট্যাম্পড আউট: বলটি যদি ব্যাটসম্যানের ব্যাট বা শরীর থেকে আঘাত পেয়ে উইকেটের পিছনে পড়ে এবং ব্যাটসম্যানের পা উইকেটের পিছনে থাকে তাহলে ব্যাটসম্যান আউট হয়ে যায়।

    রান আউট: ব্যাটসম্যানরা যদি রান করার সময় আউট হয়ে যায় তাহলে তারা আউট হয়ে যায়।

    লেগ বিফোর উইকেট (এলবিডব্লিউ): বলটি যদি ব্যাটসম্যানের ব্যাট বা শরীর থেকে আঘাত না পেয়েও উইকেটের পিছনে পড়ে এবং ব্যাটসম্যানের পা উইকেটের পিছনে থাকে তাহলে ব্যাটসম্যান আউট হয়ে যায়।

    খেলার সমাপ্তি: প্রতিটি দল যখন তাদের নির্ধারিত ওভার শেষ করে তখন খেলা শেষ হয়ে যায়। যে দল বেশি রান সংগ্রহ করে তারা জয়ী হয়।

    ক্রিকেট খেলা একটি জটিল খেলা যা বিভিন্ন নিয়ম ও নিয়মকানুন দ্বারা পরিচালিত হয়। এই নিয়মগুলি খেলার গতিশীলতা ও উত্তেজনা বজায় রাখতে সাহায্য করে।

    ক্রিকেট খেলার উপকরণ

    ক্রিকেট খেলার জন্য প্রয়োজনীয় সরঞ্জামগুলি হল:

    বল: ক্রিকেট বলটি চামড়া দিয়ে তৈরি হয় এবং এর ব্যাস ২২.৪ সেমি এবং ওজন ৫.৫ ওজনের হয়।

    ব্যাট: ক্রিকেট ব্যাটটি কাঠের তৈরি হয় এবং এর দৈর্ঘ্য ৩৮ ইঞ্চি এবং প্রস্থ ৪.২৫ ইঞ্চি হয়।

    উইকেট: উইকেটে তিনটি স্ট্যাম্প এবং দুইটি বেইল থাকে।

    ফিল্ডিং সরঞ্জাম: ফিল্ডাররা বল ধরার জন্য হেলমেট, মাথার বাঁধনী, হাতে মোজা, কব্জির বাঁধনী, বুক বাঁধনী এবং পায়ে মোজা ব্যবহার করে।

    প্রতিরক্ষামূলক সরঞ্জাম: ব্যাটসম্যানরা আউট হওয়া থেকে রক্ষা করার জন্য হেলমেট, হাঁটুর বাঁধনী, বুক বাঁধনী এবং কব্জির বাঁধনী ব্যবহার করে।


    ক্রিকেট খেলার প্রতিটি সরঞ্জামের একটি নির্দিষ্ট উদ্দেশ্য রয়েছে। বলটি ব্যাটসম্যানকে আঘাত করার জন্য ব্যবহার করা হয়। ব্যাটটি বলটিকে আঘাত করার জন্য ব্যবহার করা হয়। উইকেটটি ব্যাটসম্যানকে আউট করার জন্য ব্যবহার করা হয়। ফিল্ডিং সরঞ্জামগুলি বলটি ধরার জন্য ব্যবহার করা হয়।

     প্রতিরক্ষামূলক সরঞ্জামগুলি ব্যাটসম্যান এবং ফিল্ডারদের আঘাত থেকে রক্ষা করার জন্য ব্যবহার করা হয়।

    ক্রিকেট খেলার সরঞ্জামগুলি সাধারণত উচ্চ মানের উপকরণ দিয়ে তৈরি করা হয় যা খেলাটিকে আরও নিরাপদ এবং উত্তেজনাপূর্ণ করে তোলে।

    ক্রিকেট খেলায় drs এর সর্বোচ্চ সময় কত

    ক্রিকেট খেলায় DRS এর সর্বোচ্চ সময় হল দুই মিনিট। এই সময়ের মধ্যে, তৃতীয় আম্পায়ার সিদ্ধান্ত নেবেন যে আবেদনটি স্থগিত করা হবে কিনা। যদি আবেদনটি স্থগিত করা হয়, তাহলে খেলাটি অব্যাহত থাকবে। যদি আবেদনটি গ্রহণ করা হয়, তাহলে তৃতীয় আম্পায়ার সিদ্ধান্ত নেবেন যে আউট ছিল কিনা। এই সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য তৃতীয় আম্পায়ারকে প্রয়োজনীয় সময় নেওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়। তবে, DRS এর সর্বোচ্চ সময় হল দুই মিনিট।

    2023 সালের ক্রিকেট আইন অনুসারে, DRS এর সর্বোচ্চ সময় দুটি মিনিট। এর আগে, DRS এর সর্বোচ্চ সময় ছিল এক মিনিট। তবে, ২০২৩ সালের আইন সংশোধন করে এই সময় বাড়ানো হয়েছে।

    DRS এর সর্বোচ্চ সময়ের উদ্দেশ্য হল খেলাকে ধীরগতির করা থেকে বিরত রাখা। DRS একটি জটিল প্রক্রিয়া যা সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য কিছু সময় নিতে পারে। তবে, DRS এর সর্বোচ্চ সময়ের মধ্যে সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য তৃতীয় আম্পায়ারকে যথেষ্ট সময় দেওয়া হয়।

    ক্রিকেট কিভাবে খেলতে হয়

    ক্রিকেট একটি দলীয় খেলা যাতে প্রতিটি দলে ১১ জন খেলোয়াড় থাকে। খেলাটি একটি সমতল মাঠে খেলা হয়, যার মাঝে ২২ গজ দীর্ঘ এবং ১০ ফুট চওড়া একটি পিচ থাকে। পিচের দুই প্রান্তে উইকেট থাকে। উইকেটে তিনটি স্ট্যাম্প এবং দুইটি বেইল থাকে।

    ক্রিকেট খেলার উদ্দেশ্য হল প্রতিপক্ষ দলের চেয়ে বেশি রান সংগ্রহ করা। ব্যাটসম্যানরা বলটিকে ব্যাটে মেরে মাঠের চারপাশে দৌড়ে রান সংগ্রহ করে। বোলাররা বলটিকে উইকেটের দিকে নিক্ষেপ করে ব্যাটসম্যানকে আউট করার চেষ্টা করে।

    ক্রিকেট খেলার কিছু মৌলিক নিয়ম হল:

    খেলার শুরু: খেলা শুরু হয় টসে দিয়ে। টসে জয়ী দল ব্যাটিং করার সিদ্ধান্ত নিতে পারে বা বোলিং করার সিদ্ধান্ত নিতে পারে।

    রান সংগ্রহ: ব্যাটসম্যানরা বলটিকে ব্যাটে মেরে মাঠের চারপাশে দৌড়ে রান সংগ্রহ করে। একটি রান করার জন্য, দুটি ব্যাটসম্যানকে বিপরীত দিকে দৌড়তে হবে।

    আউট হওয়ার উপায়: ব্যাটসম্যানরা বিভিন্ন উপায়ে আউট হতে পারে। এর মধ্যে রয়েছে -

    ক্যাচ আউট: বলটি যদি ব্যাটসম্যানের ব্যাট বা শরীর থেকে আঘাত পেয়ে আকাশে উঠে যায় এবং অন্য কোনো খেলোয়াড়ের হাতে বন্দী হয় তাহলে ব্যাটসম্যান আউট হয়ে যায়।

    বোল্ড আউট: বলটি যদি ব্যাটসম্যানের উইকেট ভেঙে দেয় তাহলে ব্যাটসম্যান আউট হয়ে যায়।
    স্ট্যাম্পড আউট: বলটি যদি ব্যাটসম্যানের ব্যাট বা শরীর থেকে আঘাত পেয়ে উইকেটের পিছনে পড়ে এবং ব্যাটসম্যানের পা উইকেটের পিছনে থাকে তাহলে ব্যাটসম্যান আউট হয়ে যায়।

    রান আউট: ব্যাটসম্যানরা যদি রান করার সময় আউট হয়ে যায় তাহলে তারা আউট হয়ে যায়।
    লেগ বিফোর উইকেট (এলবিডব্লিউ): বলটি যদি ব্যাটসম্যানের ব্যাট বা শরীর থেকে আঘাত না পেয়েও উইকেটের পিছনে পড়ে এবং ব্যাটসম্যানের পা উইকেটের পিছনে থাকে তাহলে ব্যাটসম্যান আউট হয়ে যায়।

    খেলার সমাপ্তি: প্রতিটি দল যখন তাদের নির্ধারিত ওভার শেষ করে তখন খেলা শেষ হয়ে যায়। যে দল বেশি রান সংগ্রহ করে তারা জয়ী হয়।

    ক্রিকেট একটি জটিল খেলা যা বিভিন্ন নিয়ম ও নিয়মকানুন দ্বারা পরিচালিত হয়। এই নিয়মগুলি খেলার গতিশীলতা ও উত্তেজনা বজায় রাখতে সাহায্য করে।

    ক্রিকেট খেলার কিছু মৌলিক কৌশল হল:

    ব্যাটিং: ব্যাটসম্যানরা বলটিকে ব্যাটে মেরে মাঠের চারপাশে দৌড়ে রান সংগ্রহ করার চেষ্টা করে। ব্যাটসম্যানরা বিভিন্ন ধরনের শট ব্যবহার করে বলটিকে আঘাত করতে পারে।

    বোলিং: বোলাররা বলটিকে উইকেটের দিকে নিক্ষেপ করে ব্যাটসম্যানকে আউট করার চেষ্টা করে। বোলাররা বিভিন্ন ধরনের বল ব্যবহার করে ব্যাটসম্যানকে আউট করতে পারে।

    ফিল্ডিং: ফিল্ডাররা বলটি ধরার চেষ্টা করে এবং ব্যাটসম্যানকে আউট করার চেষ্টা করে। ফিল্ডাররা বিভিন্ন অবস্থানে দাঁড়িয়ে থাকে যাতে তারা বলটি ধরতে পারে।

    ক্রিকেট একটি জনপ্রিয় খেলা যা বিশ্বের অনেক দেশে খেলা হয়। এটি একটি উত্তেজনাপূর্ণ খেলা যা দর্শকদের জন্য অনেক আনন্দ দেয়।

    Next Post Previous Post
    No Comment
    Add Comment
    comment url