ম্যাগনিফাইং গ্লাস কোথায় পাওয়া যায় | ম্যাগনিফাইং গ্লাস কাকে বলে

      ম্যাগনিফাইং গ্লাস কোথায় পাওয়া যায় | ম্যাগনিফাইং গ্লাস কাকে বলে - ম্যাগনিফাইং গ্লাস বা অণুবীক্ষণ যন্ত্র হল একটি আলোক যন্ত্র যা দূরবর্তী বা ছোট বস্তুকে বৃদ্ধি করে দেখার জন্য ব্যবহৃত হয়। এটিতে দুটি উত্তল লেন্স থাকে যা বস্তু থেকে আলোকে একত্রিত করে এবং একটি বিবর্ধিত চিত্র তৈরি করে।

    ম্যাগনিফাইং গ্লাস কোথায় পাওয়া যায় | ম্যাগনিফাইং গ্লাস কাকে বলে


    ম্যাগনিফাইং গ্লাস কে আবিষ্কার করেন

    ম্যাগনিফাইং গ্লাস আবিষ্কারের সঠিক তারিখ জানা যায় না, তবে এটি সাধারণত 13শ শতাব্দীতে আবিষ্কার করা হয় বলে মনে করা হয়। ম্যাগনিফাইং গ্লাসের আবিষ্কারের জন্য দায়ী ব্যক্তিদের মধ্যে রয়েছেন:

    হাসান ইবনে হাইয়ান: তিনি একজন আরব বিজ্ঞানী এবং দার্শনিক ছিলেন যিনি 10 শতকে বসবাস করতেন। তিনি প্রথমে উত্তল লেন্সগুলির ব্যবহার বর্ণনা করেছিলেন যা বস্তুকে বৃদ্ধি করে দেখার জন্য ব্যবহৃত হয়।

    লেওনার্দো দা ভিঞ্চি: তিনি একজন ইতালীয় চিত্রশিল্পী, প্রকৌশলী, এবং বিজ্ঞানী ছিলেন যিনি 15 শতকে বসবাস করতেন। তিনি ম্যাগনিফাইং গ্লাসগুলির ব্যবহার বর্ণনা করেছিলেন যা বস্তুগুলিকে আরও কাছাকাছি দেখতে এবং ছোট বস্তুগুলিকে আরও ভালভাবে অধ্যয়ন করতে ব্যবহার করা যেতে পারে।

    জাক বুর্জুয়ে: তিনি একজন ফরাসি চশমা প্রস্তুতকারক ছিলেন যিনি 13 শতকে বসবাস করতেন। তিনি প্রথমে ম্যাগনিফাইং গ্লাস তৈরি করেছিলেন যা বাণিজ্যিকভাবে উপলব্ধ ছিল।

    ম্যাগনিফাইং গ্লাস কত প্রকার

    ম্যাগনিফাইং গ্লাসের দুটি প্রধান প্রকার রয়েছে:

    • একক-লেন্স ম্যাগনিফাইং গ্লাস: এটিতে একটি উত্তল লেন্স থাকে যা বস্তু থেকে আলোকে একত্রিত করে একটি বিবর্ধিত চিত্র তৈরি করে। এটি সাধারণত 2 থেকে 10 গুণ পর্যন্ত বিবর্ধন প্রদান করে।
    • বাইনোকুলার ম্যাগনিফাইং গ্লাস: এটিতে দুটি উত্তল লেন্স থাকে যা একই বস্তুকে দুটি চোখ থেকে আলাদাভাবে দেখার জন্য ব্যবহৃত হয়। এটি সাধারণত 7 থেকে 20 গুণ পর্যন্ত বিবর্ধন প্রদান করে।

     ম্যাগনিফাইং গ্লাস কোথায় পাওয়া যায় 

    বাংলাদেশে ম্যাগনিফাইং গ্লাস বিভিন্ন দোকানে পাওয়া যায়। নিম্নলিখিত স্থানগুলিতে ম্যাগনিফাইং গ্লাস পাওয়া যেতে পারে:

    • চশমা দোকান: চশমা দোকানগুলিতে বিভিন্ন ধরনের ম্যাগনিফাইং গ্লাস পাওয়া যায়, যার মধ্যে রয়েছে একক-লেন্স ম্যাগনিফাইং গ্লাস, বাইনোকুলার ম্যাগনিফাইং গ্লাস, এবং বিশেষ উদ্দেশ্যে ব্যবহৃত ম্যাগনিফাইং গ্লাস।
    • ইলেকট্রনিক্স দোকান: ইলেকট্রনিক্স দোকানগুলিতে সাধারণত একক-লেন্স ম্যাগনিফাইং গ্লাস পাওয়া যায়।
    • অনলাইন স্টোর: অনলাইন স্টোরগুলিতে বিভিন্ন ধরনের ম্যাগনিফাইং গ্লাস পাওয়া যায়, যার মধ্যে রয়েছে বিভিন্ন দাম, বৈশিষ্ট্য, এবং ডিজাইনের ম্যাগনিফাইং গ্লাস।

    বাংলাদেশের কিছু জনপ্রিয় অনলাইন স্টোর যেখানে ম্যাগনিফাইং গ্লাস পাওয়া যায়:

    • দারাজ
    • ইভ্যালু
    • রেডঅ্যাপ
    • প্লাজাহাট
    • আরামবাড়ি

    আপনি আপনার প্রয়োজনীয়তা এবং বাজেট অনুযায়ী ম্যাগনিফাইং গ্লাস নির্বাচন করতে পারেন।

    ম্যাগনিফাইং গ্লাস এর দাম কত

    ম্যাগনিফাইং গ্লাসের দাম বিভিন্ন কারণের উপর নির্ভর করে, যার মধ্যে রয়েছে:

    ম্যাগনিফাইং গ্লাসের ধরন: একক-লেন্স ম্যাগনিফাইং গ্লাস সাধারণত বাইনোকুলার ম্যাগনিফাইং গ্লাসের চেয়ে কম দামে পাওয়া যায়।

    ম্যাগনিফাইং গ্লাসের বিবর্ধন ক্ষমতা: বেশি বিবর্ধন ক্ষমতা সহ ম্যাগনিফাইং গ্লাস সাধারণত কম বিবর্ধন ক্ষমতা সহ ম্যাগনিফাইং গ্লাসের চেয়ে বেশি দামে পাওয়া যায়।

    ম্যাগনিফাইং গ্লাসের নির্মাণ মান: উচ্চ মানের নির্মাণের সাথে ম্যাগনিফাইং গ্লাস সাধারণত কম মানের নির্মাণের সাথে ম্যাগনিফাইং গ্লাসের চেয়ে বেশি দামে পাওয়া যায়।

    ম্যাগনিফাইং গ্লাসের বৈশিষ্ট্য: অতিরিক্ত বৈশিষ্ট্য, যেমন লাইট বা হ্যান্ডেল, থাকার কারণে ম্যাগনিফাইং গ্লাস সাধারণত সাধারণ ম্যাগনিফাইং গ্লাসের চেয়ে বেশি দামে পাওয়া যায়।

    বাংলাদেশে ম্যাগনিফাইং গ্লাসের দাম সাধারণত 100 টাকা থেকে 1000 টাকা পর্যন্ত হয়ে থাকে।

    নিম্নলিখিত হল ম্যাগনিফাইং গ্লাসের কিছু সাধারণ দাম:
    • একক-লেন্স ম্যাগনিফাইং গ্লাস: 100 থেকে 500 টাকা
    • বাইনোকুলার ম্যাগনিফাইং গ্লাস: 500 থেকে 1000 টাকা
    • বিশেষ উদ্দেশ্যে ব্যবহৃত ম্যাগনিফাইং গ্লাস: 500 থেকে 5000 টাকা

    আপনি আপনার প্রয়োজনীয়তা এবং বাজেট অনুযায়ী ম্যাগনিফাইং গ্লাস নির্বাচন করতে পারেন।

    উপসংহার : ম্যাগনিফাইং গ্লাস একটি সহায়ক সরঞ্জাম যা বিভিন্ন উদ্দেশ্যে ব্যবহার করা যেতে পারে। এগুলি বিভিন্ন দামে এবং বৈশিষ্ট্যগুলিতে পাওয়া যায়, তাই আপনার প্রয়োজনীয়তা এবং বাজেট অনুযায়ী একটি ম্যাগনিফাইং গ্লাস নির্বাচন করা গুরুত্বপূর্ণ।

    Next Post Previous Post
    No Comment
    Add Comment
    comment url