ফটোকপি মেশিনের ড্রামের দাম কত

 ফটোকপি মেশিন ব্যবহার করতে করতে একসময় অনেক যন্ত্রাংশের অপচয় ঘটে যার মধ্য অন্যতম হচ্ছে ফটোকপি মেশিনের ড্রাম । দেখা যায় যে অস্পষ্ট লেখা এবং অনেক সময় ফটোকপি বোঝা যায় না এই ফটোকপি মেশিনের ড্রামের কারণে। 

তাই ড্রাম পরিবর্তন করার দরকার হয়ে থাকে । অনেকেই গুগলে সার্চ করে থাকেন ফটোকপি মেশিনের ড্রামের দাম কত? আজকের এই পোস্টে আমি আপনাদের সাথে ফটোকপি মেশিনের ড্রামের দাম এই টপিকের উপর আলোচনা করব ।


ফটোকপি মেশিনের ড্রামের দাম কত ২০২৫

ফটোকপি মেশিন এর ড্রাম এর দাম নির্ভর করে মূলত আপনার ফটোকপি মেশিন কোন মডেল এর উপর। তাই আপনি যখন ফটোকপি মেশিনের দাম সার্চ করবেন অবশ্যই আপনার ফটোকপি মেশিনের মডেল নাম্বারটি উল্লেখ করবেন এবং চেষ্টা করবেন সঠিক দাম জানার জন্য ঐ কোম্পানির অফিসিয়াল ওয়েবসাইট ভিজিট করার জন্য।

তোশিবা ২৩০৩ মেশিনের ড্রামের দাম ৪০০ টাকা ৫০০০ হাজার কপি পর্যন্ত করতে পারবেন ।

৪৫২ এই মডেলের ড্রামগুলোর দাম অ্যাভেলেবেল চলছে ১৪০০ টাকা করে।

ফুজি ফটোকপি ড্রামের দাম চলছে ১৭০০ টাকা।

৪৫২ ড্রাম ইউনিট এর দাম হচ্ছে ৩৫০০ টাকা ।

লং লাইফ ড্রামের দাম ৩৫০০ টাকা ।

Toshiba T-2323C Original Toner for Photocopier এর দাম হচ্ছে ৫০০০ টাকা ।

বিশেষ দ্রষ্টব্য : উপরে আমি ফটোকপি মেশিনের ড্রামের দাম তুলে ধরেছি তা ১০০% সঠিক নাও হতে পারে। তাই কেনার পূর্বে অবশ্যই অফিশিয়াল ওয়েবসাইট ভিজিট করে অথবা নিকটস্থ শোরুমে গিয়ে দাম যাচাই-বাছাই করে নিবেন ।

ফটোকপি মেশিনের ড্রামের দাম কত



তোশিবা ফটোকপি মেশিন দাম

আপনাদের জানার সুবিধার্থে নিচে কয়েকটি তোশিবা ফটোকপি মেশিন এর দাম উল্লেখ করা হলো:

  • তোশিবা এমআর-৩০৩২ অটোমেটিক ডকুমেন্ট ফিডার (আরএডিএফ) এর দাম ৩৪,০০০ টাকা মাত্র ।
  • তোশিবা ই-স্টুডিও 2523A A3 মাল্টিফাংশন ডিজিটাল ফটোকপিয়ার এর দাম ৪৬,৫০০ টাকা মাত্র ।
  • Toshiba MR-3033C অটোমেটিক ডকুমেন্ট ফিডার (RADF) এর দাম ৫৪,০০০ টাকা মাত্র ।
  • তোশিবা ই-স্টুডিও 2323AMW মাল্টিফাংশন মনোক্রোম ফটোকপিয়ার এর দাম ৫৮,০০০ টাকা মাত্র ।
  • তোশিবা ই-স্টুডিও ২৫২৩AD ডুপ্লেক্স মাল্টিফাংশন ফটোকপিয়ার এর দাম ৫৬,৫০০ টাকা মাত্র ।
  • তোশিবা ই-স্টুডিও 2823AMW মাল্টিফাংশন মনোক্রোম ফটোকপিয়ার এর দাম ৭৫,৫০০ টাকা মাত্র ।
  • তোশিবা ই-স্টুডিও ২০২১এসি মাল্টিফাংশনাল A3 কালার ফটোকপিয়ার এর দাম ১১৫,০০০ টাকা মাত্র ।

ফটোকপি মেশিনের কালির দাম

TOSHIBA T-2323C টোনার কার্তুজ 2523A,2523AD, 2323AM,2823AM, 2329A,2829A  এই সকল মডেল মেশিনের কালির দাম ২৪০০ টাকা ।

 Real Color ইংকজেট রিফিল ইংক 664 4 Color, 4 Pcs ফর Epson L120 L130 L132 L210 L220 L310 L365 L380 L382 L486 L550 L800 L805 L1300 L1455 ET-2500 ET-2650 এই সকল মডেল মেশিনের কালির দাম ৪৪০ টাকা ।

85A Black LaserJet টোনার এর কালির দাম ৮৫০ টাকা মাত্র ।

HP 48a লেসার কম্পাটেবল টোনার কার্টিজ (CF248A) এর কালির দাম ১২০০ টাকা মাত্র ।

রিফিল ইঙ্ক / প্রিন্টার এর কালি এর দাম ৭০০ টাকা মাত্র ।

লেজার টোনার 78A এর দাম ৮০০ টাকা মাত্র ।

ইপসন অরিজিনাল রিফিল কালির দাম ১৬০০ টাকা মাত্র ।

২৬এ টোনার কার্টিজ এর দাম ১৩০০ টাকা মাত্র ।


ডিসক্লেমার: উপরে আমি ফটোকপি মেশিন ড্রাম ও কালির দাম তুলে ধরেছি বিভিন্ন অনলাইন পোর্টাল ও স্থানীয় বাজার জিজ্ঞাসা করে। তাই আপনি যখন এই সকল যন্ত্রাংশ কিনবেন অবশ্যই আপনি ভালোভাবে দাম যাচাই-বাছাই করে নিবেন এবং চেষ্টা করবেন অফিশিয়াল ওয়েবসাইট অথবা শোরুম থেকে নেওয়ার জন্য।

ফটোকপি মেশিন কোনটি ভালো?

ফটোকপি মেশিন কোনটা ভাল এমন প্রশ্নের উত্তর দেওয়া আসলে কোনোভাবেই উচিত হবে না । কেননা এখানে প্রতিটি কোম্পানির ফটোকপি মেশিন ভালো। তাই নিচে আপনাদের বেছে নেওয়ার সুবিধার্থে আমি কয়েকটি সেরা ফটোকপি মেশিনের ওভারভিউ লিখে দিচ্ছি । এরপর আপনার পছন্দ অনুসারে আপনি আপনার ফটোকপি মেশিনটি বেছে নিতে পারেন।

তোশিবা ফটোকপি মেশিন: তোশিবা একটি জাপানি ব্র্যান্ড, যা ইলেকট্রনিক্সের মধ্যে অন্যতম জনপ্রিয়। তোশিবা ফটোকপি মেশিন তার উন্নত পারফর্মেন্স এবং কম দামে খুবই পরিচিত। এর মধ্যে রয়েছে উন্নত প্রিন্ট ও স্ক্যান ফাংশন, 550 কপি করার ক্ষমতা, 45 পিপিএম মুদ্রণ গতি, এবং 1200x1200 DPI মুদ্রণ রেজুলেশন। আরও রয়েছে ২০ সেকেন্ড ওয়ার্ম আপ টাইম, ওয়াইফাই কানেক্টিভিটি, ইউএসবি সাপোর্ট, ডুপ্লেক্সিং, এবং 600x600 স্ক্যান রেজুলেশন। তোশিবা মেশিনটি ব্যবহারে খুবই কার্যকর এবং সেবা ব্যবস্থাও চমৎকার।


শার্প ফটোকপি মেশিন: শার্প ফটোকপি মেশিনে রয়েছে সাদা-কালো কপির সুবিধা। এর প্রিন্ট রেজুলিউশন 600x600 DPI এবং মুদ্রণ গতি ১৮ পিপিএম। শার্প মেশিনে ৬৪ এমবি মেমরি রয়েছে এবং ইউএসবি কানেক্টিভিটি সাপোর্ট করে প্রিন্টিং, স্ক্যানিং এবং কপির ফাংশন। শার্পের মেশিনের দাম ও কনফিগারেশন ভিন্ন ভিন্ন হয়ে থাকে।

ক্যানন ফটোকপি মেশিন: ক্যানন ফটোকপি মেশিন খুবই জনপ্রিয়, বিশেষ করে তার কালার প্রিন্টিং এবং স্ক্যান ফাংশনের জন্য। এই মেশিনে রয়েছে ২০ জিবি র‌্যাম এবং ৮০ জিবি হার্ডডিস্ক। এ-৪ এবং এ-৩ প্রিন্টিং, ২৫%-৪০০% জুম, একাধিক কপি প্রিন্টিং এবং নেটওয়ার্ক প্রিন্টিংয়ের সুবিধা থাকে। এছাড়া এতে রয়েছে ২০ পিপিএম মুদ্রণ গতি এবং মাল্টিফাংশন কপি সিস্টেম।


কয়োসেরা ফটোকপি মেশিন: কয়োসেরা মেশিন মাল্টিফাংশনাল সিস্টেমে কাজ করে। এতে ফটোকপিং, প্রিন্টিং, স্ক্যানিং এবং অপশনাল ফ্যাক্স ফাংশন থাকে। এর টাচ স্ক্রীন ডিসপ্লে ব্যবহারকে সহজ এবং স্বাচ্ছন্দ্যময় করে তোলে। তবে কয়োসেরা মেশিন বিশেষ শোরুম থেকে কিনতে হবে, সব জায়গায় পাওয়া যায় না।


এইচপি ফটোকপি মেশিন: এইচপি ফটোকপি মেশিনে প্রিন্ট, স্ক্যান এবং কপি ফাংশন পাওয়া যায়। এর প্রিন্টারে ২৫৬ এমবি মেমরি এবং প্রতি মিনিটে ২২ পৃষ্ঠার কপি প্রিন্ট করতে পারে। এটি একটি ছোট আকারের মেশিন, যা সহজে ব্যবহার করা যায়। এটি মাসে ৫০,০০০ পৃষ্ঠা প্রিন্ট করতে পারে এবং একটি পৃষ্ঠা প্রিন্ট হতে সময় লাগে ৮.৩ সেকেন্ড।

রিকো ফটোকপি মেশিন: রিকো ফটোকপি মেশিনের কার্যক্ষমতা খুবই ভালো। এতে রয়েছে ২০ সিপিএম কালার কপি স্পিড, ১২০০ DPI প্রিন্ট ও স্ক্যান রেজুলিউশন এবং ৬০০ DPI রেজুলিউশন। ২৫ সেকেন্ডে ওয়ার্ম আপ হয় এবং ২৫-৪০০% জুম করতে পারে। বিল্ট-ইন ২ গিগাবাইট মেমরি এবং ২৫০ গিগাবাইট হার্ডডিস্ক সাপোর্ট করে। রিকো মেশিনের বেশ কয়েকটি মডেল এবং সিরিজ রয়েছে, যার দাম ও বৈশিষ্ট্য কনফিগারেশনের উপর নির্ভর করে।


এই ব্র্যান্ডগুলো প্রতিটি তাদের নিজস্ব বিশেষত্ব এবং সুবিধা দিয়ে বাজারে জনপ্রিয়, এবং অফিস বা ব্যবসায়িক ব্যবহারের জন্য সেরা অপশন হিসেবে বিবেচিত।



এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url