বিবাহিতদের পাসপোর্ট করতে কি কি লাগে
যদি আপনার কাছে জাতীয় পরিচয়পত্র (NID) বা অনলাইন জন্ম নিবন্ধন সনদ থাকে, তাহলে আপনি পাসপোর্টের জন্য আবেদন করতে পারবেন। যারা NID Card ব্যবহার করেন, তারা ভোটার আইডি দিয়ে এবং যার NID Card নেই, তারা ডিজিটাল জন্ম নিবন্ধন সনদ দিয়ে অনলাইনে ই-পাসপোর্টের জন্য আবেদন করতে পারবেন।
অনলাইনে আবেদন করা সঠিক হলে, অনেক সময় পাসপোর্ট অফিসে গিয়ে কাগজপত্রের সমস্যা হয়। কারণ, কিছু কাগজপত্র না থাকলে পাসপোর্ট আবেদন গ্রহণ হয় না। তাই, আবেদন করার সময় সঠিক কাগজপত্র নিয়ে যেতে হবে, নাহলে আবেদন গ্রহণ হবে না।
বিবাহিতদের পাসপোর্ট করতে কি কি লাগে
বিবাহিতদের পাসপোর্ট করতে যা যা কাগজপত্র লাগে:
১. অনলাইন আবেদনপত্র: ই-পাসপোর্ট করার জন্য আপনাকে অবশ্যই অনলাইনে আবেদন করতে হবে। আবেদন করার পর, আবেদনের কপি এবং অন্যান্য কাগজপত্র সাক্ষাতকারের দিন পাসপোর্ট অফিসে জমা দিতে হবে।
২. ছবি: সম্প্রতি তোলা পাসপোর্ট সাইজের রঙিন ছবি লাগবে।
৩. জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি): ই-পাসপোর্ট করার জন্য আপনার NID কার্ড বা জন্ম নিবন্ধন সনদ লাগবে। যদি আপনার বয়স ১৮ থেকে ২০ বছর হয়, তাহলে আপনি জন্ম নিবন্ধন সনদ বা NID কার্ডের কপি দিয়ে আবেদন করতে পারবেন। তবে, যদি আপনার বয়স ২০ বছরের বেশি হয়, তাহলে NID কার্ড বাধ্যতামূলক।
৪. জন্ম নিবন্ধন সনদ: ই-পাসপোর্ট করার জন্য নাগরিকত্ব সনদ লাগবে। যদি আপনি ইউনিয়নে থাকেন, তাহলে ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান থেকে নাগরিকত্ব সনদ নিতে হবে। আর যদি আপনি পৌরসভায় থাকেন, তাহলে পৌরসভা চেয়ারম্যানের কাছে নাগরিকত্ব সনদ নিতে হবে।
৫. বিবাহ সনদ: যদি আপনি বিবাহিত হন, তাহলে আপনার নিকাহনামা বা বিবাহ সনদের মূল কপি ও ফটোকপি লাগবে।
৬. স্বামী বা স্ত্রীর পরিচয়পত্র: স্বামী বা স্ত্রীর জাতীয় পরিচয়পত্রের মূল কপি ও ফটোকপি লাগবে।
৭. ঠিকানার প্রমাণ: আপনার বর্তমান ঠিকানার প্রমাণ হিসেবে বিদ্যুৎ বিল, গ্যাস বিল, পানির বিল বা অন্য কোনো ইউটিলিটি বিলের মূল কপি ও ফটোকপি লাগবে।
৮. পেশার প্রমাণ: আপনার পেশা অনুযায়ী প্রমাণপত্র লাগবে। ছাত্রদের জন্য স্টুডেন্ট আইডি এবং চাকরিজীবীদের জন্য চাকরির কার্ড লাগবে। তবে, কৃষক হলে পেশার কোনো প্রমাণপত্র লাগবে না।
৯. শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদ (যদি থাকে): শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদ এর মূল কপি ও ফটোকপি লাগবে।
১০. অন্যান্য কাগজপত্র: কিছু বিশেষ পরিস্থিতিতে আরও কাগজপত্র লাগতে পারে, যেমন -
- যদি আপনি সরকারি চাকরিজীবী হন, তাহলে আপনার অফিসের অনাপত্তি পত্র লাগবে।
- যদি আপনার আগে পাসপোর্ট থাকে, তাহলে সেই পাসপোর্টের মূল কপি লাগবে।
- যদি আপনি কোনো কারণে আপনার জাতীয় পরিচয়পত্র বা জন্ম নিবন্ধন সনদ দেখাতে না পারেন, তাহলে অন্য কোনো পরিচয়পত্র দেখাতে হতে পারে।
১১. পাসপোর্ট ফি: ই-পাসপোর্টের আবেদন করার পর, আপনাকে নির্ধারিত ফি দিতে হবে। আপনি ফি অনলাইনে বা অফলাইনে জমা দিতে পারেন। জমা দেওয়ার পর, ফি পরিশোধের রসিদ সংগ্রহ করে রাখতে হবে, যা পরবর্তীতে পাসপোর্ট অফিসে লাগবে।
১২. পুলিশ ভেরিফিকেশন: আপনার আবেদন জমা দেওয়ার পর পুলিশ আপনার ঠিকানায় গিয়ে আপনার পরিচয় যাচাই করবে।
১৩. NOC / GO: এটি শুধুমাত্র সরকারি চাকরিজীবীদের জন্য। সরকারি চাকরিজীবীরা যদি সরকারি কাজে বিদেশ যেতে চান, তাহলে তাদের GO (Government Order) লাগবে। আর ব্যক্তিগত কাজে বিদেশ যেতে চাইলে NOC (No Objection Certificate) লাগবে।
পাসপোর্ট নবায়ন করতে কি কি লাগে
পাসপোর্টধারীদের কাছে একটা পরিচিত শব্দ হলো "পাসপোর্ট নবায়ন" বা "পাসপোর্ট রিনিউ"। অনেকেই জানেন না, যখন পুরনো পাসপোর্ট বা মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়া পাসপোর্ট নবায়ন করতে হয়, তখন কী কী কাগজপত্র লাগে। এর কারণে অনেক সময় মানুষ পাসপোর্ট নবায়ন করতে গিয়ে সমস্যায় পড়েন।
কিন্তু, এটা আসলে খুব কঠিন কিছু না। নতুন পাসপোর্ট করতে যেভাবে কাগজপত্র লাগে, পুরনো পাসপোর্ট নবায়ন করার ক্ষেত্রেও সেগুলোই লাগবে। তবে, পুরনো পাসপোর্ট নবায়ন করার সময় আপনাকে শুধু আপনার পুরনো পাসপোর্টের মূল কপি এবং তার ফটোকপি সঙ্গে নিয়ে যেতে হবে।
এবং, অন্যান্য সব কাগজপত্রের কথা আমরা আগে বলেছি, সেগুলোও সাথে নিতে হবে। তাই, আপনি যখন পুরনো পাসপোর্ট নবায়ন করতে যাবেন, তখন উপরে বলা সব কাগজপত্রের সাথে আপনার পুরনো পাসপোর্টের মূল কপি এবং তার ফটোকপি নিয়ে যাবেন।
আরও তথ্যের জন্য, আপনি পাসপোর্ট অফিসের ওয়েবসাইটে যেতে পারেন অথবা সরাসরি পাসপোর্ট অফিসে যোগাযোগ করতে পারেন।