নতুন পাসপোর্ট বানাতে কি কি লাগে ২০২৪ | ই পাসপোর্ট আবেদনের কত দিনের মধ্যে টাকা জমা দিতে হয়

নতুন ই পাসপোর্ট বানাতে কি কি লাগে ২০২৪ | ই পাসপোর্ট আবেদনের কত দিনের মধ্যে টাকা জমা দিতে হয়? আপনি জানেন কি?

    নতুন পাসপোর্ট বানাতে কি কি লাগে - বন্ধুরা আজকে আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করব নতুন পাসপোর্ট করতে কি কি লাগে এবং ই পাসপোর্ট আবেদনের কত দিনের মধ্যে টাকা জমা দিতে হয়। আপনারা যারা নতুন পাসপোর্টের বিষয়ে জানতে চাচ্ছেন এবং বিভিন্ন জায়গায় প্রশ্ন করছেন। এই আর্টিকেলের মাধ্যমে আপনারা আপনাদের সকল প্রশ্নের উত্তর পেয়ে যাবেন। 

    আজকের স্বর্ণের দাম কত বাংলাদেশে 

    আপনাদের সুবিধার জন্য নিচে নতুন পাসপোর্ট করতে কি কি লাগে এবং ই পাসপোর্ট আবেদনের কত দিনের মধ্যে টাকা জমা দিতে হয়  সকল বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হবে। আশা করব এই আর্টিকেলটির মাধ্যমে আপনারা একটু হলেও উপকৃত হবেন। নতুন পাসপোর্ট এর সম্পর্কে জানতে নিচে বিস্তারিত জানতে পড়ুন।


    নতুন পাসপোর্ট বানাতে কি কি লাগে ২০২৩ | ই পাসপোর্ট আবেদনের কত দিনের মধ্যে টাকা জমা দিতে হয়

    নতুন পাসপোর্ট বানাতে কি কি লাগে ২০২৪


    নতুন পাসপোর্ট বানাতে কি কি লাগে ২০২৪

    নতুন পাসপোর্ট করতে গেলে নিজেদের অনেক ভোগন্তি ভোগ করতে হয়। কারণ পাসপোর্ট করতে কি কি লাগে সেটা যদি জানা না থাকে তাহলে তারা বিভিন্ন ধরনের ডকুমেন্ট নেয়ার জন্য বলেন। তাই আপনারা যারা নতুন পাসপোর্ট তৈরি করার জেনে নিয়ে সকল ডকুমেন্ট সাথে নিয়ে যান, তাহলে আপনাদের পাসপোর্ট আপনার সহজে করে নিতে পারবেন। 

    আপনাদের সুবিধার্থে এখন আমি নতুন পাসপোর্ট বানাতে কি কি লাগে সেটি নিয়ে নিচে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো-


     ১. পাসপোর্ট আবেদন ফরম বা ডি.আই.পি ফরম-১ ডাউনলোড করে ২ কপি প্রিন্ট করুন। ফরম দুইটি সঠিকভাবে পূরণ করতে হবে।

    ২. ফরমের ৪র্থ পৃষ্ঠায় একজন সরকারী কর্মকর্তা কর্তৃক সত্যায়িত করতে হবে।

    ৩. পূরণকৃত ফরমে সদ্য তোলা ২ কপি পাসপোর্ট সাইজের ছবি আঠা দিয়ে লাগাতে হবে। 
    ( তবে আবেদনকারী ১৫ বছরের কম অর্থাৎ, অপ্রাপ্ত বয়স্ক হলে বাবা ও মায়ের স্টাম্প সাইজের দুই কপি করে রঙ্গিন ছবিও আঠা দিয়ে লাগাতে হবে। ছবি লাগানোর পর তা সত্যায়িত করতে হবে। )

    ৩. জাতীয় পরিচয়পত্র কিংবা জন্ম সনদ পত্রের দুই কপি (সত্যায়িত করে নিতে হবে)।

    ৪. ইঞ্জিনিয়ার, ডাক্তার, গাড়ি চালক কিংবা অন্যান্য কারিগরী পেশায় জড়িতদের ক্ষেত্রে পেশাগত সনদপত্র সত্যায়িত করে সংযুক্ত করতে হবে।

    ৫. অফিসিয়াল পাসপোর্ট আবেদন করার জন্য সরকারী আদেশ তথা গভ. অর্ডার বা জিও সংযুক্ত করতে হবে।

    ৬. অবসরপ্রাপ্ত সরকারী কর্মকর্তাগণের ক্ষেত্রে পেনশনবুকের ফটোকপি প্রদান করলে সাধারণ ফিতে জরুরী সেবা পাবেন।


    উপরের পাসপোর্ট করার করতে কি কি লাগে সে ডকুমেন্টগুলো তুলে ধরা হয়েছে। আশা করি আপনারা যখন পাসপোর্ট করতে যাবেন তখন এই ডকুমেন্টগুলো সাথে নিয়ে গেলে আপনারা আপনাদের নিজেদের পাসপোর্ট করে নিতে পারবেন। আরো বিস্তারিত জানতে পড়ুন-


    পাসপোর্ট করতে পেশা সম্পর্কিত হলে কি কি কাগজ লাগে

    ছাত্রদের পাসপোর্ট আবেদনের জন্য প্রয়োজনীয় যে কাগজ পত্র গুলো লাগে-

    ১. শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রধান কর্তৃক প্রদত্ত প্রত্যয়ন পত্র।

    ২. স্টুডেন্ট আই ডি কার্ড।


    সরকারি চাকুরীজীবীদের পাসপোর্ট আবেদনের জন্য প্রয়োজনীয় যে কাগজ পত্র গুলো লাগে-

    ১. GO অথবা, NOC

    ২. পেনশন বুক বা PRL Order (অবসরপ্রাপ্তদের জন্য)।


    অপ্রাপ্ত বয়স্কদের পাসপোর্ট করতে কি কি লাগে


    অপ্রাপ্ত যাদের বয়স তাদের পাসপোর্ট করতে কি কি লাগবে, কত বয়স হলে আপনারা পাসপোর্ট করতে পারবেন এবং পাসপোর্ট করতে কি কি ডকুমেন্ট লাগবে সেগুলো বিস্তারিত নিচে আলোচনা করা হলো- 


    আবেদনকারীর বয়স যদি ছয় বছরের কম হয় তাহলে পাসপোর্ট করতে যা যা লাগবে -


    ১. ৩ আর (3R Size) সাইজের (ল্যাব প্রিন্ট গ্রে ব্যাকগ্রউন্ড ) ছবি দাখিল করতে হবে।

    ২. মাতা অথবা পিতার জাতীয় পরিচয়পত্র (NID) নম্বর অবশ্যই উল্লেখ করতে হবে।

    ৩. BRC English Version অনলাইন জন্ম নিবন্ধন সনদ।


    উপরের এই ডকুমেন্টগুলো দিয়ে আপনারা ছয় বছর শিশুদের জন্য পাসপোর্ট করে নিতে পারবেন। আরো বিস্তারিত জানতে নিচের পড়ুন - 



    আবেদনকারীর বয়স যদি ১৮ বছরের কম হলে পাসপোর্ট করতে যা যা লাগবে -


    ১. মাতা অথবা পিতার জাতীয় পরিচয়পত্র (NID) নম্বর অবশ্যই উল্লেখ করতে হবে।

    ২. BRC English Version অনলাইন জন্ম নিবন্ধন সনদ।



    আবেদনকারীর বয়স ১৮-২০ বছর হলে পাসপোর্ট করতে যা যা লাগবে -


    ১. জাতীয় ‍পরিচয়পত্র (NID) অথবা,

    ২. BRC English Version অনলাইন জন্মনিবন্ধন সনদ।


    পাসপোর্ট আবেদনকারীর বয়স ২০ বছরের বেশি হলে ভোটার আইডি কার্ড বাধ্যতামূলক লাগবে। ‍

    ( তবে, বিদেশে অবস্থিত বাংলাদেশ মিশন বা দূতাবাসে পাসপোর্ট আবেদনের ক্ষেত্রে BRC English Version অনলাইন জন্মনিবন্ধন সনদ দিয়েও আবেদন করা যাবে। )


    পাসপোর্ট আবেদনের জন্য বৈবাহিক অবস্থা সম্পর্কিত গুরুত্বপূর্ন তথ্য


    ১. অবিবাহিত উল্লেখ করলে কোন ডকুমেন্ট দেখাতে হবে না

    ২. বিবাহিত উল্লেখ করলে বিবাহ সনদ লাগবে। নামের শেষে স্বামীর পদবী যোগ করতে কাবিননামা/ম্যারেজ সার্টিফিকেট কিংবা হিন্দু বিবাহ নিবন্ধন সার্টিফিকেট দাখিল করতে হবে। সেইসাথে স্বামী ও স্ত্রীর ভোটার আইডি কার্ড দেখাতে হবে।

    ৩. ডিভোর্স হলে প্রাক্তন স্বামীর নামের পদবী বাদ দিতে ডিভোর্স পেপার সাবমিট করতে হবে এবং স্থায়ী ঠিকানা পরিবর্তন করতে হবে।


    ই পাসপোর্ট করতে কি কি লাগে

    ই পাসপোর্ট আবেদনের জন্য খুব বেশি কাগজপত্রের দরকার হয় না এবং সত্যায়িত করানোর ও প্রয়োজন হয় না। ই পাসপোর্ট করার প্রয়োজনীয় কাগজপত্র যা লাগে সেগুলো নিচে দেয়া হলো - 


    ১. অনলাইনে আবেদনের সারসংক্ষেপ বা সামারী – Application Summery।

    ২. আবেদনের কপি।

    ৩. জাতীয় পরিচয়পত্র/ অনলাইন জন্ম নিবন্ধন সনদ।

    ৪. ঠিকানার প্রমাণপত্র/ ইউটিলিটি বিলের কপি (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে)।

    ৫. পূর্ববর্তী পাসপোর্টের ফটোকপি ও অরিজিনাল পাসপোর্ট (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে)।

    ৬. পিতা মাতার জাতীয় পরিচয়পত্রের কপি (শিশুদের ক্ষেত্রে আবশ্যিক)।

    ৭. পেশাগত সনদের ফটোকপি বা চাকুরীর আইডি কার্ড (পেশাজীবির ক্ষেত্রে- যেমন ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার, হিসাবরক্ষক, আইনজীবি)।

    ৮. নাগরিক সনদ/ চেয়ারম্যান সার্টিফিকেট (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে)।


    ই পাসপোর্টের টাকা জমা দেয়ার জন্য কি কি লাগবে


    আপনি যদি অনলাইনের মাধ্যমে পাসপোর্ট আবেদন করে থাকেন, তাহলে এই পাসপোর্ট এর আবেদন ফি জমা দেয়া লাগবে। আবেদন ফি জমা দেয়ার জন্য যে সমস্ত তথ্য সমুহের প্রয়োজন হবে সেগুলো নিচে আলোচনা করা হলো।

    ১. পাসপোর্ট এর পৃষ্ঠা সংখ্যা এবং মেয়াদ।

    ২. পাসপোর্টে ডেলিভারির ধরন সাধারণ বা জরুরী।

    ৩. জাতীয় পরিচয়পত্র বা জন্ম নিবন্ধন এর নম্বর পাসপোর্ট।

    ৪. আবেদন অনুসারে আপনার নাম।

    ৫. পাসপোর্ট আবেদন অনুসারে আপনার ঠিকানা।

    ৬. পাসপোর্ট আবেদন করার সময় যে মোবাইল নাম্বার দিয়েছিলেন সেই মোবাইল নাম্বার।


    কয়টি ব্যাংক এর মাধ্যমে পেমেন্ট করা যায়

    আপনি চাইলে অনলাইনে অফলাইনে বিভিন্ন রকমের ব্যাংক এর মাধ্যমে পেমেন্ট করতে পারবেন। আপনি যে ব্যাংক এর মাধ্যমে টাকা জমা দিতে পারবেন সে ব্যাংক গুলো নিচে দেয়া হল -

    ১. ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক।

    ২. এবি ব্যাংক।

    ৩. অগ্রণী ব্যাংক লিমিটেড।

    ৪. সাউথইস্ট ব্যাংক।

    ৫. প্রিমিয়ার ব্যাংক।

    ৬. ইস্টার্ন ব্যাংক।

    ৭. ডাচ-বাংলা ব্যাংক লিমিটেড।

    ৮. ইসলামী ব্যাংক।

    ৯. বাংলাদেশ কমার্স ব্যাংক।

    ১০. ব্র্যাক ব্যাংক।
    ১১. ওয়ান ব্যাংক।

    ১২. সোনালী ব্যাংক।

    ১৩. মিডল্যান্ড ব্যাংক।

    ১৪. এনআরবি কমার্শিয়াল ব্যাংক।



    উপরের ব্যাংকের মাধ্যমে আপনি চাইলে অনলাইনে কিংবা অফলাইনে পাসপোর্ট ফি জমা দিতে পারবেন।


    উপরে আপনাদের সাথে শেয়ার করা হয়েছে নতুন পাসপোর্ট তৈরি বানাতে কি কি ডকুমেন্ট লাগবে এবং ই পাসপোর্ট আবেদনের কত দিনের মধ্যে টাকা জমা দিতে হয় এবং আরো পাসপোর্ট এর বিভিন্ন বিষয় উল্লেখ করা হয়েছে। আশা করি এই আর্টিকেলের মাধ্যমে আপনারা আপনাদের সকল প্রশ্নের উত্তর পেয়েছেন।

    পরবর্তী পোস্ট পূর্ববর্তী পোস্ট
    কোন মন্তব্য নেই
    এই পোস্ট সম্পর্কে আপনার মন্তব্য জানান

    দয়া করে নীতিমালা মেনে মন্তব্য করুন - অন্যথায় আপনার মন্তব্য গ্রহণ করা হবে না।

    comment url