থাইরয়েড নরমাল কত পয়েন্ট | থাইরয়েড কমানোর উপায়

থাইরয়েড কমানোর উপায় কি আপনি জানেন কি? থাইরয়েড নরমাল কত পয়েন্ট জেনে নিন আজকের এই পোষ্ট থেকে ।

 থাইরয়েড কমানোর উপায় -  থাইরয়েড বর্তমানে প্রায় প্রত্যেক ঘরে ঘরে প্রত্যেক ব্যক্তির এই রোগটি হয়ে থাকে । থাইরয়েড অনেকটা দেখতে প্রজাপতির মতো এটি গলায় অবস্থান করে । এবং এই রোগে প্রায় আমরা প্রত্যেকে জড়িত ।

থাইরয়েড অনেকটা দেখতে প্রজাপতির মত এই থাইরয়েড গ্রন্থি থাইরয়েড হরমোন শরীরের কয়েকটি বিপাকীয় ক্রিয়া নিয়ন্ত্রণ করে । 

হাইপোথাইরয়েডিজম এবং হাইপারথাইরয়েডিজম দুটি সাধারণ থাইরয়েড রোগ যা আমরা কিভাবে শক্তি তৈরি এবং ব্যবহার করি তার ওপর প্রভাব ফেলে। 

যদিও এটিকে সম্পূর্ণ রুপে নির্মূল করার কোন প্রতিকার নেই, তবে কয়েকটি ঘরোয়া উপায় রয়েছে যা দিয়ে এটিকে নিয়ন্ত্রণ করা যায়। তো চলুন নিচে আমরা থাইরয়েড কমানোর ঘরোয়া গুলি দেখি নিয় । 

তাই আজ আমি আপনাদের সঙ্গে শেয়ার করব থাইরয়েড কমানোর উপায় নিয়ে । আমাদের গুগল নিউজ ফলো করুন  ।

আরো পড়ুন - সরকারিভাবে কানাডা যাওয়ার উপায় ২০২৪

নগদে সর্বনিম্ন কত টাকা ক্যাশ আউট করা যায়

ওয়ালটন ফ্রিজ ১৩ সেফটি দাম ২০২৪

থাইরয়েড কমানোর উপায় | থাইরয়েড নরমাল কত পয়েন্ট


থাইরয়েড কমানোর উপায়

মানুষের শরীরে সাধারণত দুই ধরনের থাইরয়েড সমস্যা দেখা যায় । হাইপারথাইরয়েডিজম ও হাইপোথাইরয়েডিজম। থাইরয়েড গ্রন্থিতে অতিরিক্ত হরমোন তৈরি হলে তাকে বলে হাইপারথাইরয়েডিজম । আর পর্যাপ্ত বা অল্প পরিমাণে হরমোন তৈরি হলে তাকে হাইপোথাইরয়েডিজম বলে। থাইরয়েড  প্রধানত স্ট্রেস, ডায়েটের সমস্যা  কারণের জন্য হয়ে থাকে তবে হ্যাঁ এর কিছু ঘরোয়া উপায় আছে এবং কিছু নিয়মকানুন আছে তো চলুন থাইরয়েড কমানোর উপায় গুলি নিম্নে দেখে নেয়া যাক ।

থাইরয়েড কমানোর উপায়

থাইরয়েড কমানোর উপায় গুলি

১. মানসিক চাপ কমাতে নিয়মিত শরীরচর্চা করুন। গবেষণায় প্রমাণিত থাইরয়েডের সমস্যা কম থাকে।

২. প্রতিদিনের খাবারে আয়রন কম পরিমাণে থাকলেও থাইরয়েডের সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাই আয়রনযুক্ত খাবার প্রত্যেকদিন খাওয়া উচিত ।

৩. যোগ ব্যয়াম ও ধ্যান থাইরয়েড গ্রন্থিতে রক্ত প্রবাহকে সঠিক রাখে। যার ফলে থাইরয়েডের সমস্যা কমতে থাকে ।

৪. আমাদের শরীরে যখন পর্যাপ্ত পরিমাণে আয়োডিন থাকে না , তখন থাইরয়েড হরমোন দেহ তৈরি করতে পারে না ।  যা হাইপোথাইরয়েডিজম-এর দিকে পরিচালিত হয়ে। তাই আয়োডিন যুক্ত খাবার খান।

৫. আপনার যদি থাইরয়েড সমস্যা থাকে তাহলে আপনি প্রধানত চিনি খাবেন না চিনি খেলে শরীরের T3 ও T4— এই দুটি হরমোন উৎপন্ন হয় । যা একজন থাইরয়েড রোগীর জন্য খুবই খারাপ । তাই চেষ্টা করবেন চিনি থেকে বিরত থাকার ।  ।

৬. এন্টি অক্সিজেন যুক্ত খাবার যেমন ফল শাকসবজি দুধ এসব খাবার খান । এগুলি থাইরয়েডের সমস্যা প্রতিরোধে সাহায্য করে । এছাড়া ভিটামিন বি ১২ যুক্ত খাবার থাইরয়েড গ্রন্থিকে সঠিকভাবে কাজ করতে সাহায্য করে । তাই অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যুক্ত খাবার আপনার ডায়েটে অবশ্যই রাখা দরকার । 

৭. অনেক সময় ভিটামিন বি এর অভাবে থাইরয়েড হয়ে থাকে এবং ভিটামিন বি এর সর্বশ্রেষ্ঠ উৎস হচ্ছে সূর্যের আলো । তাই দিনে কমপক্ষে ২০ থেকে ৩০ মিনিট সূর্যের রোদে সরষের তেল মেখে ঘোরাঘুরি করুন যেটা একজন রোগীকে একটা হেল্প করবে ।

৮. খাবার সময় মনোযোগ দিয়ে ভালোভাবে চিবিয়ে চিবিয়ে খান । খাবার সময় খুব বেশি তাড়াহুড়ো করে খাবে না, যেটা থাইরয়েড গ্রন্থির উপর ইফেক্ট করে । তাই খাবার সময় অবশ্যই চিবিয়ে চিবিয়ে খাবেন ।

৯. দোকানের খাবার এবং ফাস্টফুড যেমন এগরোল, চাওমিন, বিরিয়ানি, ভাজাভুজি, থেকে বিরত থাকুন।  একজন থাইরয়েড রোগীর এইসব খাবার থেকে বিরত থাকলে গবেষণায় প্রমাণিত হয়েছে অনেকটা ভালো থাকে ।

উপরের দেওয়া তথ্য গুলি আপনি যদি সঠিকভাবে মানেন তাহলে অবশ্যই একজন থাইরয়েড রোগীর জন্য অনেকটা হেল্প হবে । তাই আমি আশা করব থাইরয়েড কমানোর উপায় গুলি আপনি আপনার দৈনন্দিন জীবনে প্রত্যেকদিন ব্যবহার করবেন । তো চলুন থাইরয়েড সম্বন্ধে আরও কিছু তথ্য নিচে আমরা দেখিনিয় ।

থাইরয়েড নরমাল কত?

থাইরয়েড নরমাল কত পয়েন্ট

থাইরয়েড রোগীদের মনে একটি প্রশ্ন যে থাইরয়েড নরমাল কত? তাই আমি আপনাদের বলে রাখি প্রাপ্তবয়স্কদের মধ্যে  থাইরয়েড মাত্রার স্বাভাবিক পরিসর হল 0.4 থেকে 4.0 mIU/L। কিছু গবেষণা পরামর্শ দেয় যে  থাইরয়েড নরমাল 0.45 থেকে 2.5 mIU/L এর মতো হওয়া উচিত। থাইরয়েড নরমাল হলো ২.৫ মাত্রা । তবে উপরের দেওয়া তথ্য গুলি আপনি যদি সঠিকভাবে মানেন তাহলে আপনি খুব সহজে আপনার থাইরয়েড কে নরমালে আনতে পারবেন । 

আরো পড়ুন - বাংলালিংক নাম্বার চেক

গিয়ার সাইকেল দাম কত 

দুরন্ত সাইকেল ছবি ও দাম ২০২৪

থাইরয়েড হলে কি বাচ্চা হয় না?

হ্যাঁ থাইরয়েড হলেও বাচ্চা হয় তবে কিছু নিয়ম-কানুন এবং কিছু শর্ত মেনে আপনাকে চলতে হবে । যেমন নিয়ন্ত্রণ করে থাকে সেটি ঠিক একই ভাবে  একটি নারী রেগুলার মাসিক  এবং প্রজনন ক্ষমতা সন্তান ধারণ ক্ষমতা  ইত্যাদি  প্রভাবিত করতে পারে ।

বর্তমানে সবচেয়ে বেশি থাইরয়েড রোগী দেখা যাচ্ছে গর্ভবতী মহিলাদের । এই গর্ভবতী মহিলা সবথেকে বেশি আক্রান্ত হচ্ছে থাইরয়েড রোগের । আর তাদের এই থাইরয়েডের সমস্যার জন্য সন্তান আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে ।

অনেক সময় অনেক মহিলার গর্ভবতী হওয়া সত্বেও কিছুদিন পরে থাকে বাচ্চা নষ্ট হয়ে যায় । যে কারনে বাচ্চা নেওয়ার আগে অবশ্যই একবার ডাক্তারের সঙ্গে পরামর্শ করে থাইরয়েড পরীক্ষা করে নেওয়া উচিত । 

আবার অনেক সময় যারা থাইরয়েড এর রোগী ইতিমধ্যে থাইরয়েড রোগে   সনাক্ত  হয়েছেন তারা সন্তান নিতে ভয় পান তাদের উদ্দেশ্যে বলছি যে আপনি যদি  সম্পূর্ণভাবে সুস্থ থাকেন ওষুধ নিয়মিত গ্রহণ করে থাকেন এবং নিয়মিত মনিটরিং করেন তাহলে সন্তান নিতে আপনার কোন ভয় নেই।

টিএসএইচ বাধার সিস্টেম হরমোনের মাত্রা 2.5 এর নিচে নামিয়ে নিয়ে আসাটা হচ্ছে সবচেয়ে নিরাপদ। এজন্য আপনি যদি তাইরোগে আক্রান্ত হয়ে  থাকেন তাহলে আপনার সন্তান নেবার আগে আপনার চিকিৎসকের সাথে পরামর্শ করুন । 

 তারপর আপনি নিশ্চিন্তে সন্তান ধারণ করুন সন্তান ধারণের পর বা  প্রেগনেন্সির সময়  প্রতি ছয় সপ্তাহ থেকে৮ সপ্তাহ পরপন থাইরয়েড পরিক্ষা করুন।

  টেস্টের রিপোর্ট যদি নরমাল না আসে তাহলে বারবার আপনাকে ডেট বাড়িয়ে নিতে হতে পারে।  এজন্য  পুরো প্রেগনেন্সি  সময় আপনি আপনার চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ রাখুন নিয়মিত মনিটরিং করুন এবং সবসময় আপনার  থাইরয়েড  নরমাল থাকে  তাহলে আপনি সুস্থ এবং সুন্দর সন্তান জন্ম দিতে পারে । এক্ষে  আপনার কোনো বাধা থাকবে ।

থাইরয়েড টেস্ট কিভাবে করে

থাইরয়েড টেস্ট সাধারণত ব্লাড বা রক্তের মাধ্যমে হয়ে থাকে । সাধারণত tsh , t4 ,t3 এই তিনটি পরীক্ষার মাধ্যমে থাইরয়েড টেস্ট সম্পন্ন করা হয় । তবে প্রত্যেকটি টেস্টের ধরন এবং টেস্টগুলো কিভাবে হয় নিম্নে আমি প্রত্যেকটি টেস্টের তথ্য তুলে ধরছি । 

প্রত্যেকটি মানুষের থাইরয়েড গন্থি  থেকে ক্ষরিত হরমোন থাইরক্সিন হরমোন আমাদের দেহে দুটি রুপে দেহে অবস্থায়  করে । তবে বেশির ভাগ থাইরক্সিন হরমন প্রটিন জাতীর পদাথের থারে আবদ্ধ অস্থায় থাকে ।   কিছু পরিমাণে থাইরয়েক্সিন মুক্ত অবস্থায় থাকে ।

থাইরয়েড টেস্ট করার সময় আপনাকে ডাক্তারের ল্যাবে যেতে হবে এবং পরীক্ষার সময় আপনাকে একটি চেয়ারে বসতে হবে কিংবা একটি টেবিলে শোয়ানো হবে ।

যে হাত থেকে রক্ত নেয়া হবে সেই হাতটি উন্মুক্ত করতে হবে অর্থাৎ হাতের পোশাকটি খুলতে হবে এবং কোন নার্স আপনার হাতে থেকে এক সিরিঞ্জ রক্ত নেবে এবং আপনার হাতটাকে উপরের দিকে তুলে থাকতে বলবে এবং আপনাকে একটু সিরিঞ্জ ঢুকানো জায়গাটাতে মালিশ করতে বলবে । 

থাইরয়েড পরীক্ষা সাধারণত দুইটি পদ্ধতিতে হয়ে থাকে T4  and TSH ।

T4 পরীক্ষাটি থাইরক্সিন পরীক্ষা হিসাবে পরিচিত। T4 এর ফল যদি উচ্চ স্তরের হয় তবে ওভার এক্টিভ থাইরয়েড নির্দেশ করে। লক্ষণগুলির মধ্যে উদ্বেগ, ওজন হ্রাস, কম্পন এবং ডায়রিয়া অন্তর্ভুক্ত ।

যদি আপনার TSH ২.০ এম এল ইউ/ইউ  এর উপরে মাপা  হয়, তবে আপনার হাইপোথাইরয়েডিজমের দিকে এগিয়ে যাওয়ার ঝুঁকি রয়েছে। লক্ষণগুলির মধ্যে ওজন বৃদ্ধি, ক্লান্তি , হতাশা, ভঙ্গুর চুল এবং নখগুলি অন্তর্ভুক্ত। এক্ষেত্রে আপনার ডাক্তারবাবু কমপক্ষে প্রতি বছর আপনার থাইরয়েড পরীক্ষা করতে বলতে পারেন। আর উপযুক্ত ডাক্তারবাবুর কছে চিকিৎসা শুরু করার সিদ্ধান্ত নিতে পারেন। t4 এবং টিএসএইচ এই দুটি পরীক্ষা আপনাকে করাতে হবে ।

 আপনার যদি এই হরমোনগুলোর মাত্রা সঠিক থাকে তাহলে আপনি ডাক্তারের কাছে চিকিৎসা নেবেন । এবং সেই ডাক্তারের মতো পরামর্শ করে আপনি এক থেকে দেড় বছর রেগুলার ওষুধ খেলে সম্পূর্ণ সুস্থ হয়ে যাবেন । 

থাইরয়েড কি ভালো হয়

থাইরয়েড বিভিন্ন ধরনের হয়ে থাকে এবং অনেকের মনে ভ্রান্ত ধারণা আছে যে এই থাইরয়েড ভালো হয়না ? তবে এই প্রক্রিয়াটি সম্পূর্ণ ভুল । সঠিক ভাবে এবং একজন ভালো ডাক্তারের সঙ্গে পরামর্শ করলে এক থেকে দেড় বছর যদি রেগুলার ওষুধ খাওয়া যায় তাহলে থাইরয়েড ভালো হয় । তবে এদের সম্পর্কে আরও কিছু তথ্য নিম্নে আমি ডিটেলসে তুলে ধরছি  । যেগুলো বড় বড় ডাক্তার বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছে । 


থাইরয়েড ভালো হয় না এই বিষয়টা হচ্ছে ভ্রান্ত ধারণা । আপনার যদি হাইপোথাইরোয়েডিজম হয়, আপনাকে সারা জীবন চিকিৎসা নিতে হবে। তবে আপনি যদি চিকিৎসা না নেন তাহলে আপনি ভালো থাকতে পারবেন না । 


তবে হাইপারের বিষয়ে দেখা গেছে যে অনেক হাইপারথাইরয়েডিজম, থাইরয়েডক্সিনোসিসের ক্ষেত্রে ১ থাকে ২ বছর যদি নিয়মিত চিকিৎসা নেওয়া যায় তাহলে ভালো হয়ে যায়। এই থাইরয়েডক্সিনোসিসের রেডিও আয়োডিন দিয়ে চিকিৎসা করা যায়। এগুলোর আবার সিলেকশন রয়েছে যে কোনটা করতে হবে। তবে এই থাইরয়েড সার্জারি করা যায়। তবে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে ডাক্তারবাবুরা অ্যান্টিথাইরয়েড ওষুধ দিয়ে চিকিৎসা করে থাকেন।

আরো পড়ুন - ওয়ালটন ফ্রিজ 10 সেফটি দাম কত

ওয়ালটন ফ্রিজ ১২ সেফটি দাম কত ২০২৪

ওয়ালটন ফ্রিজ ১১ সেফটি দাম কত ২০২৪

ওয়ালটন ফ্রিজ ১৬ সেফটি দাম কত ২০২৪

সিঙ্গার ফ্রিজ ১২ সেফটি মূল্য তালিকা 2024

যমুনা ফ্রিজ ১২ সেফটি দাম কত 

 ভিশন ফ্রিজ ১২ সেফটি দাম কত ২০২৪

পরবর্তী পোস্ট পূর্ববর্তী পোস্ট