ছাত্রদের বিদায় অনুষ্ঠানে শিক্ষকের বক্তব্য
ছাত্রদের বিদায় অনুষ্ঠানে শিক্ষকের বক্তব্য কি হবে আজকের এই পোস্ট থেকে জেনে নিন ।
ছাত্রদের বিদায় অনুষ্ঠানে শিক্ষকের বক্তব্য - গুগলে অনেকে লিখে সার্চ করেন ছাত্রদের বিদায় অনুষ্ঠানে শিক্ষকের বক্তব্য কেমন হবে । তাই আজকে আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করব ছাত্রদের বিদায় অনুষ্ঠানে শিক্ষকের বক্তব্য । আশা করি পোস্টটি একটি হলো আপনার উপকারে আসবে ।
আরো পড়ুন - নরমেনস ট্যাবলেট খাওয়ার কতদিন পর মাসিক হয়
৫ হাজার টাকার মধ্যে ভালো মোবাইল
সিঙ্গার ফ্রিজ ১২ সেফটি মূল্য তালিকা ২০২৩
ছাত্রদের বিদায় অনুষ্ঠানে শিক্ষকের বক্তব্য
ক্ষমা করো, ধৈর্য ধরো হোক সুন্দরতর বিদায়ের ক্ষণ ।মৃত্যু নয় বিনাশ নয়, নহে বিরহের ভয়। শুধুমাত্র সমাপন। আজকের বিদায়ী অনুষ্ঠানের উপস্থিত মাননীয় সর্বশ্রেষ্ঠ শিক্ষক, আমার সহকর্মী শিক্ষক শিক্ষাবৃন্দ সবার প্রতি জানাই আন্তরিক শ্রদ্ধা ও ভালবাসা। এবং মঞ্চে সম্মুখে আমার প্রিয় শিক্ষার্থীদের জানাই আমার হৃদয়ের অন্তস্থলের এর শুভেচ্ছা ও ভালোবাসা।
বিদায় মানে যেন বিরহের এক কবিতা, যে কবিতা হৃদয়কে দুঃখ ভারাক্রান্ত করে, দু চোখ হয় চোখের পানি সজল। আজ তোমাদের বিদায় বেলা। বিদায় অনুষ্ঠান। এই বিদায় কেবল ক্ষণিকের আজীবনের জন্য। হৃদয়ের স্মৃতিপটে তোমরা আমাদের হৃদয় থেকে যাবে। এই বিদায় আরো সামনের দিকে এগিয়ে যাওয়া, নিজের অমৃত সম্ভাবনা মিলে ধরায়, নিজের যোগ্যতা, মেধা ও খাটনি নিয়ে নিজের জীবন গড়ার পদক্ষেপ।
এই বিদায় নেয়াটাও যোগ্যতার। দীর্ঘ সময় ধরে অধ্যবসায় করে, পড়াশোনা করে তোমরা এক একটা ধাপ উত্তীর্ণ হয়ে আজ বিদায়ের টার্গেটে উপস্থিত হয়েছো আরো সামনের দিকে এগিয়ে যাবার জন্য।
বিদ্যালয়ের প্রতিটি মুহূর্তে তোমাদের টাচ লেগে আছে, এই বিদায়ের প্রাঙ্গনে তোমরা ভরিয়ে রেখেছো তোমাদের সরব উপস্থিতি মাধ্যমে, চমৎকার পড়াশোনার পাশাপাশি খেলাধুলাও সাংস্কৃতিক প্রতিভার মাধ্যমে এই বিদ্যালয়কে তোমরা গর্বিত করেছ, সম্মানিত করেছ আমাদের সকলকে।
এই বিদ্যালয় থেকে তোমাদের শারীরিক বিদায় হলেও বিদ্যালয়ের আঙিনা থেকে তোমাদের স্মরণ কখনো দূর যাবে না। এই জীবনের খেলাঘরে এই বিদায় যতটা দুঃখের ঠিক ততটাই আনন্দের রিজন জীবনের অমৃত সম্ভাবনা দেখে তোমরা এগিয়ে যাবে, মুঠো মুঠো কুড়িয়ে নেবে জীবনের সাফল্য সুধা।
জীবনের নানা এক্সপেরিয়েন্স তোমাদের জীবনকে বৈচিত্র্যময় করবেন। এইজন্য বলি এগিয়ে যেতে হলে মাঝে মাঝে ছেড়ে যেতে হয়, কাটাতে হয় মায়ার ইন্দ্রজাল।
তাই হযরত আলী রাঃ একটা বিখ্যাত কথন সবসময় মনে রাখবে, জীবন হোক কর্মময়, ক্রমাগত ছুটে চলা, ঘুমানোর জন্য পরেই রয়েছে। তোমাদের জীবনকে এইরকম ভাবে তোমরা সাজাবে যেন তোমাদের প্রত্যেকটি খুশি তোমরাও উপভোগ করতে পারো। আলসেমি করে কেউ কোনো সময়েই সুবিশাল কিছু হতে পারেনি।
যারা নিজের কম্ফর্টজন ভেঙে খাটনি করেছে তারাই স্পর্শ করেছে সাফল্য চোড়া। তারাই অর্জন করেছে ইজ্জত ও খ্যাতি। কখনও বলবে না আমার তো মেধা নেই, আমি তো ব্রিলিয়ান্ট নই, মেধার চেয়েও তাৎপর্যপূর্ণ হচ্ছে পরিশ্রম।
তুমি যত জানবে, যত পড়বে, যত এক্সপেরিয়েন্স অর্জন করবে তোমার এগিয়ে মনস্কাম কেউ রোধ করতে পারবে না। বিগত কয়েক বছর ধরে তোমাদের সবাইকে আমাদের অকৃত্রিম ও ভালোবাসা অর্পণ করেছি। প্রয়োজনে জটিল আচরণ করেছি যাতে তোমরা নিজেদের পড়াশোনা নিয়ে সিরিয়াস হও। যেন পরীক্ষায় বেশ ভালো সাকসেস অর্জন করার জন্য পারো।
আপনার মনের মতো করে রিরাইট হওয়ার ওয়ার্ড বা শব্দ গুলো পরিবর্তন করুন.!
এই বিদ্যালয়ের প্রাঙ্গণ তোমাদের কখনোই ভুলবে না। গগনে আলোকিত নক্ষত্রের মতো, বাগানে ফুটে থাকা ফুলের সৌন্দর্যের মতো আমরা আমাদের হৃদয়ের তুমাদের আজিবন রেখে দিব তোমরা আমাদের হৃদয়ে অমলিন হয়ে থাকবো।। তোমাদের এই বিদায় শুভ হোক।
তোমরা নিয়ম-শৃঙ্খলা মেনে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করবে। এই সময়টা প্রচুর স্পর্শকাতর। একেবারেই সময় নষ্ট করা যাবে না। ফেসবুক,Youtube ,সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এসব তোমরা মনোযোগ নষ্ট করবে, এসবের কপাট বন্ধ করে দাও। এক্সট্রা রাত ওঠা যাবেনা অবশ্যই ভালোভাবে ঘুমাবে সময়ের মেক্সিমাম ব্যবহার করার জন্য হবে।
কারণ এই সময়টা আর কখনোই ফিরে পাবে না এ সময়টা আর কখনোই ফিরে পাবে না। কথায় আছে সময় গেলে সাধন হবে নাএই কথাটি সবসময় মনে রাখবে । জীবনে পর্যাপ্ত কিছুই করার জন্য পারবে কিন্তু পড়াশোনা শুরুটা গুরুত্বটা সঠিক সময় দেওয়ার জন্য হবে। যারা পড়াশোনা না করে গুরুত্ব না দিয়ে অনাদর করেছে তারা অনেকপদে পদে দুঃখ পাচ্ছে। এজন্য কখনো পড়াশোনাকে অযত্ন করবে না।
জীবন বড়ই কঠিন। তোমরা শিক্ষকের কথা মেনে চলো, যার বাবা-মার কথা মেনে চলো, তোমরা কে নিয়ে তাদের কল্পনা পূর্ণ কর। বিদ্যালয়ের মুখ উজ্জ্বল কর এবং সর্বোপরি তোমাদের নিজেকে উদ্ভাসিত ব্যক্তি পরিমাণে গড়ে তুলো। জীবনে সব সময়ই বড় স্বপ্ন দেখবে এবং সেটা অর্জনের জন্য অধ্যবসায় করবে দেখবে তোমারা পর্যাপ্ত মুছে এগিয়ে গেছো। বিদ্যালয়ের প্রাঙ্গনে উপস্থিত সকলের প্রতি আমি আবারো আমার শ্রদ্ধেয় ভালোবাসা জানাচ্ছি।
এবং স্টুডেন্টদের আলোকিত ভবিষ্যৎ কামনা করে আমার বক্তব্য সমাপ্ত করার আগে উরুগুয়ে একজন বিখ্যাত সাংবাদিক এদুয়ার্দোর একটা উদ্ধতি সবার নিকট শেয়ার করছি।
ইতিহাস কোনো সময়েই বিদায় বলেনা, বলে আবার লক্ষ্য হবে। আল্লাহ হাফেজ।
বিদায় অনুষ্ঠানের বক্তব্য - ছাত্রদের বিদায় অনুষ্ঠানে শিক্ষকের বক্তব্য
২০..সালের ssc/Hsc/ Honours/masters ব্যাচের বিদায় উপলক্ষে আয়োজিত আজকের এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত মাননীয় অধ্যক্ষ, উপাধ্যক্ষ,, সর্বশ্রেষ্ঠ শিক্ষক, শ্রদ্ধেয় শিক্ষাকমন্ডলী, সম্মানিতন বিন্দু ও নিরতিশয় স্নেহের বিদায়ী ছাত্র ছাত্রীরা সবাইকে আমার আদাব ও শুভেচ্ছা জানাচ্ছি।
”আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু”
” কত বুক ভাঙ্গা গুপ্ত ব্যথায় আজ কতগুলি প্রাণ কাঁদিতেছে কোথায়- পথিক! ওগো অভিমানী মুছে পথিক! কেহ ভালবাসিল না চিন্তা করে যেন আজো মিছে ব্যথাপেয়ে যেয়োনা,যাবে যাও, তুমি হৃদয়ে মমতা নিয়ে যেও না। আজ এই প্রিয় ইন্সটিটিউট থেকে তোমাদের আনুষ্ঠানিকভাবে বিদায়ের দিন । সময়ের প্রয়োজনে তোমাদের চলে যেতে হলো বৃহত্তর দিগন্তরের প্রাণে। কালের কালের আমোঘ কপালে এভাবে চলে আসা- যাওয়ার পর্ব। তবু, আমাদের হৃদয়ের আজ অতি দুঃখ ভরাক্রন্ত।
বিদায়, যেন পল্লব ঝরা কোনদিন ,,
অভিযাত্রীক,
এই প্রতিষ্ঠানে তোমাদের যেতে মধুর অনেকগুলো দিন কেটেছে। তোমাদের পদভারে এই প্রাঙ্গণ ছিল মুখরিত। কঠোর অধ্য বসায়, নিরলস শ্রম অকৃত্রিম আগ্রহের নিজেদের আলোকিত ব্যক্তি হিসেবে গড়ার সাধনার তোমরা সর্বদাই সচেষ্ট ছিলে, আজ ভবিষ্যতের সিঁড়িতে তোমরা যখন প্রজ্ঞার ছায়া ফেলতে চাচ্ছো তখনই বলি…
এই ইন্সটিটিউটের স্মৃতিময় দিনগুলো আর প্রিয় শিক্ষক- শিক্ষিকাদের অবদানের কথা যেন তোমরা ভুলে না যাও।এই বিদ্যানিকেতনের এক্সপেরিয়েন্স ও পরম্পরায় চলে এসেছে যেন হয় তোমাদের ভবিষ্যৎ গড়ে তোলার প্রেরণা। তোমাদের সাথে আমাদের প্রীত্রিময় বন্ধন যেন অটুক থাকে আজীবন।
হে আলোর সড়কের যাত্রীরা, তোমরা দেশের আগামী দিনের কর্ণধার। তোমাদের অভিজ্ঞতা, অধ্যবসায় ও সমীচীন নিষ্ঠা, সংযত চালচলন ,বিনম্র মনেবৃত্তি,সুনির্দিষঠ লক্ষ্যাভিসার, অতল পাঠানো তোমাদের দান করুক মহত্ত্বের চারিত্রিক সম্পদ। মনে রেখো, লাখো শহীদের রক্তের বিনিময়ে আমাদের এই দেশ স্বাধীনতা অর্জন। শহীদের রক্ত তোমরা বৃথা যেতে দিও না।
জাতি আজ প্রত্যাশা করে দুঃখ, দারিদ্র আধার ঘুছিয়ে তোমরা গড়ে তুলবে একটি পুষ্ট বাংলাদেশ। হে বন্ধুরা, প্রত্যেক মানুষের অবশ্য উচিত হলো শিক্ষা গ্রহণ করা। ইন্দ্রিয়গ্রাহ্য মানুষের অবশ্য উচিত হলো শিক্ষা গ্রহণ করা। জন্ম থেকে মরণ পর্যন্ত জ্ঞান অর্জন করার জন্য হয়। অর্জিত জ্ঞানী প্রকৃতপক্ষে কারের জ্ঞান। পুস্তক সহায়ক শক্তিমাত্র। বিদ্যালয়ে আসে সবাই, আবার চলে যাবে সবাই। জীবনের এই নব দিগন্তরের উদ্দেশ্য তোমাদের এই অভিযাত্রা তোমাদের সামনে সোনালী দিন বয়ে আনুক।
গুরুজনদের বল উচ্চারিত কয়েকটি বানী আজকের এই দিনে আমি তোমাদের মনে করিয়ে দিতে চাই..
*কোন সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে চমৎকার করে স্মরণ ভাবা করবে।
*সকলকে সম্মান করো। বাবা-মা, শিক্ষক-শিক্ষিকা থেকে আরম্ভ করে অপরিচিত মানুষদেরও।
*কাউকে দেখামাত্র তার সম্মন্ধে ধারণা করে নিও না। একদিনে কাউকে চেনা যায় না।
*যে তোমায় সহযোগিতা করেছে তাকে কখনো ভুলে যেও না।
* দুর্নীতিতে কোনো সময়েই প্রশ্রয় দিও না।
তোমাদের কর্মনিষ্ঠ, অধ্যবসায় ও কষ্টের ফসল নিয়ে তো মারা খুশিতে উদ্বেলিত হবে, আজকের এই বিদায় অনুষ্ঠানে সেদিনের প্রত্যাশা করছি। মহান সৃষ্টিকর্তার কাছে দোয়া করি তোমরা সুস্থ থাকো, দীর্ঘ জীবী হও, তোমাদের জীবন মজায় ভরে উঠুক। আমাদের স্মৃতিপটে চির স্মরণীয় হয়ে থাকুক আজকের এই দিনে প্রতিটি ক্ষণ, প্রতিটি মুহূর্ত।
প্রিয় ছাত্র বন্ধুরা,
” অতীতেরতীর হয়ে যে রাত্রে বহিব, দীর্ঘ শ্বাস,ঝরা বকুলের কান্না ব্যথিবে আকাশ,সেই ক্ষণে খুঁজে দেখো- কয়েকটি মোর পিছে রহিলো সে তোমার প্রানের প্রান্তে: বিস্মৃতিপ্রদোষে হয়তো দিবে সে যদি, হয়তো ধরিবে কভু নাম- হারার স্বপ্নের মুরতি।
পরিশেষে প্রাণপ্রিয় সকল ছাত্র- ছাত্রীর উদ্ভাসিত ভবিষ্যৎ ও দীর্ঘায়ু কামনা করে আমি আমার বলার যোগ্য সম্পন্ন করছি। ধন্যবাদ সবাইকে । “ সৃষ্টিকর্তা হাফেজ”
ছাত্রদের বিদায় অনুষ্ঠানে শিক্ষকের বক্তব্য উপরে তুলে ধরা হয়েছে । আশা করি এই পোষ্টটি আপনার উপকারে আসবে । প্রতিনিয়ত এমন পোস্ট পাওয়ার জন্য আজকের আইটি ওয়েবসাইট ভিজিট করবেন। ভালো থাকবেন ,সুস্থ থাকবেন ।
দয়া করে নীতিমালা মেনে মন্তব্য করুন - অন্যথায় আপনার মন্তব্য গ্রহণ করা হবে না।
comment url